সুন্দরবনের চাকের মধু, যা সুন্দরবন মধু নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে সংগ্রহ করা প্রাকৃতিক মধু। এটি সাধারণত গাঢ় সোনালী বা হালকা বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে এবং এর স্বাদ হালকা টক-মিষ্টি হয়ে থাকে। সুন্দরবনের বিভিন্ন ফুল, যেমন খলিশা, গরান, কেওড়া, বাইন ইত্যাদি থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে। এই মধু প্রক্রিয়াজাত করা হয় না, তাই এটিকে “র” মধু বা “প্রাকৃতিক চাকের মধু” বলা হয়।
সুন্দরবনের মধুর বৈশিষ্ট্য:
-
স্বাদ:হালকা টক-মিষ্টি হয়ে থাকে।
-
রং:সাধারণত হালকা সোনালী বা গাঢ় বাদামী রঙের হয়।
-
গন্ধ:সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধুর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর মিষ্টি গন্ধ।
-
ঘনত্ব:সুন্দরবনের মধুর ঘনত্ব সাধারণত পাতলা হয়ে থাকে, যা এখানকার বিশেষ আবহাওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
-
সংগ্রহের স্থান:সুন্দরবনের গহীন অরণ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়।
-
গুণাগুণ:প্রাকৃতিক চাকের মধু একটি পুষ্টিকর খাবার, যাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে।
-
উপকারিতা:এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজম স্বাস্থ্যের উন্নতি, ক্ষত নিরাময় এবং শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারে।
সুন্দরবনের মধু সাধারণত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে সংগ্রহ করা শুরু হয় এবং এটি সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে। সুন্দরবনের মধু বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং জনপ্রিয় খাদ্য উপাদান।

Reviews
There are no reviews yet.